Higher Secondary Philosophy Question Paper 2015
PART – B
(১) বিকল্প ভিত্তিক উত্তরগুলির মধ্যে থেকে সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখোঃ
১.১ মিলের যে পদ্ধতি কার্যকারনকে সহ অবস্থান থেকে পৃথক করতে পারে না সেটি হল –
(ক) অন্বয়ী পদ্ধতি (খ) ব্যতিরেকী পদ্ধতি (গ) সহ পরিবর্তন পদ্ধতি (ঘ) মিশ্র পদ্ধতি
উত্তরঃ (ক) অন্বয়ী পদ্ধতি
১.২ দ্বৈত-অন্বয়ী পদ্ধতি হল –
(ক) অন্বয়ী পদ্ধতি (খ) অন্বয়ী-ব্যাতিরেকী পদ্ধতি (গ) ব্যতিরেকী পদ্ধতি (ঘ) সহ পরিবর্তন পদ্ধতি
উত্তরঃ (খ) অন্বয়ী-ব্যাতিরেকী পদ্ধতি
১.৩ ‘ক’ হল ‘খ’ এর পর্যাপ্ত শর্ত – একথার অর্থ হল –
(ক) যদি ‘ক’ ঘটে তবে ‘খ’ ঘটে (খ) যদি ‘খ’ ঘটে তবে ‘ক’ ঘটে (গ) যদি ‘ক’ না ঘটে তবে ‘খ’ ঘটে না (ঘ) যদি ‘খ’ না ঘটে তবে ‘ক’ ঘটে না
উত্তরঃ (ক) যদি ‘ক’ ঘটে তবে ‘খ’ ঘটে
১.৪ ‘অক্সিজেনের উপস্থিতি দহনের কারন’ – বাক্যটিতে ‘কারন’ কথাটি যে অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে তা হল –
(ক) বহুকারণবাদ (খ) পর্যাপ্ত শর্ত (গ) আবশ্যিক শর্ত (ঘ) আবশ্যিক পর্যাপ্ত শর্ত
উত্তরঃ (ঘ) আবশ্যিক পর্যাপ্ত শর্ত
১.৫ বহুকারণবাদের একজন সমর্থন হলেন –
(ক) মিল (খ) লক (গ) দেকার্ত (ঘ) স্পিনোজা
উত্তরঃ (ক) মিল
১.৬ আরোহ অনুমাণে সামান্যীকরণের মাধ্যমে যে বচন প্রতিষ্ঠা করা হয় তা হল –
(ক) সামান্য সংশ্লেষ বচন (খ) সামান্য বিশ্লেষক বচন (গ) বিশেষ সংশ্লেষক বচন (ঘ) বিশেষ বিশ্লেষক বচন
উত্তরঃ (ক) সামান্য সংশ্লেষ বচন
১.৭ আরোহ অনুমানের বস্তুগত ভিত্তি হল –
(ক) পর্যবেক্ষণ (খ) প্রকৃতির একরূপতা নীতি (গ) কার্যকারণ নীতি (ঘ) সামান্যীকরন
উত্তরঃ (ক) পর্যবেক্ষণ
১.৮ উপমাযুক্তির সিদ্ধান্তের সম্ভব্যতার সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হল –
(ক) সাদৃশ্যের সংখ্যা (খ) সাদৃশ্যের প্রাসঙ্গিকতা (গ) ব্যক্তিগত বৈসাদৃশ্য (ঘ) ব্যক্তিগত সাদৃশ্য
উত্তরঃ (খ) সাদৃশ্যের প্রাসঙ্গিকতা
১.৯ কোনো সত্যাপেক্ষক যৌগিক বচনের সত্যমূল্য নির্ভর করে –
(ক) শুধুমাত্র অঙ্গবচনের ওপর (খ) শুধুমাত্র যোজকের ওপর (গ) অঙ্গবচন ও যোজকের ওপর (ঘ) এদের কোনোটির ওপর নয়
উত্তরঃ (গ) অঙ্গবচন ও যোজকের ওপর
১.১০ যদি p তাহলে q মিথ্যা হবে যদি –
(ক) p ও q উভয়েই সত্য হয় (খ) p ও q উভয়েই মিথ্যা হয় (গ) p সত্য কিন্তু q মিথ্যা হয় (ঘ) p মিথ্যা কিন্তু q সত্য হয়
উত্তরঃ (গ) p সত্য কিন্তু q মিথ্যা হয়
১.১১ p.p এই বচনাকারটি –
(ক) স্বতঃসত্য (খ) স্বতঃমিথ্যা (গ) আপতিক (ঘ) এদের কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (গ) আপতিক
১.১২ “কোনো শিক্ষক নয় অ-শিক্ষিত” – বচনটির ভেনচিত্র হল –
(ক) (খ) (গ) (ঘ)
উত্তরঃ (ঘ)
১.১৩ ‘সকল অ-S হয় P’ – বচনটির বুলীয় ভাষ্য হল –
(ক) (খ) (গ) SP=O (ঘ)
উত্তরঃ (ঘ)
১.১৪ P অথবা Q,
Q
এই যুক্তি আকারটি হল –
(ক) MP (খ) MT (গ) DS (ঘ) HS
১.১৫ প্রাকল্পিক নিরপেক্ষ যুক্তির প্রধান আশ্রয়বাক্যটির অংশ দুটি হল –
(ক) উদ্দেশ্য ও বিধেয় (খ) পূর্বগ ও অনুগ (গ) সংযোগী ও বিকল্প (ঘ) আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্ত
উত্তরঃ (খ) পূর্বগ ও অনুগ
১.১৬ পক্ষপদটি পক্ষ আশ্রয় বাক্য ছাড়াও অন্য যে স্থানে থাকে তাহল -
(ক) সিদ্ধান্তের বিধেয় স্থানে (খ) সাধ্য আশ্রয়বাক্যের বিধেয় স্থানে (গ) সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য স্থানে (ঘ) সাধ্য আশ্রয় বাক্যের উদ্দেশ্য স্থানে
উত্তরঃ (গ) সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য স্থানে
১.১৭ AOO মূর্তিটি বৈধ হয় -
(ক) প্রথম সংস্থানে (খ) দ্বিতীয় সংস্থানে (গ) তৃতীয় সংস্থানে (ঘ) চতুর্থ সংস্থানে
উত্তরঃ (খ) দ্বিতীয় অবস্থানে
১.১৮ যদি A বচন সত্য হয় তাহলে O বচন টি সত্য মূল্য হবে -
(ক) সত্য (খ) মিথ্যা (গ) অনিশ্চিত (ঘ) স্ববিরোধী
উত্তরঃ (খ) মিথ্যা
১.১৯ একই উদ্দেশ্য ও বিধেয় বিশিষ্ট I এবং O বচন হলো পরস্পরের -
(ক) বিপরীত বিরোধী (খ) অধীন বিপরীত বিরোধী (গ) অসম বিরোধী (ঘ) বিরুদ্ধে বিরোধী
উত্তরঃ (খ) অধীন বিপরীত বিরোধী
১.২০ A বচনের যে পথটি ব্যাপ্য হয় তাহলে -
(ক) উদ্দেশ্য পদ (খ) বিধেয় পদ (গ) উভয় পদ (ঘ) কোন পদ ব্যাপ্য নয়
উত্তরঃ (ক) উদ্দেশ্য পদ
১.২১ আদর্শ নিরপেক্ষ বচনের অংশ হলো -
(ক) দুটি (খ) তিনটি (গ) চারটি (ঘ) পাঁচটি
উত্তরঃ (খ) তিনটি
১.২২ যে যুক্তিতে আশ্রয় বাক্য থেকে সিদ্ধান্তটি অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয় তাকে বলে -
(ক) অবরোহ যুক্তি (খ) বৈজ্ঞানিক আরোহ (গ) অবৈজ্ঞানিক আরোহ (ঘ) উপমা যুক্তি
উত্তরঃ (ক) অবরোহ যুক্তি
১.২৩ অনুমান যখন ভাষায় প্রকাশিত হয় তখন তাকে বলে -
(ক) অনুভূতি (খ) যুক্তি (গ) কল্পনা (ঘ) সংবেদন
উত্তরঃ (খ) যুক্তি
১.২৪ বৈধ অবরোহ যুক্তির যুক্তিবাক্য সত্য হলে সিদ্ধান্ত হবে -
(ক) সত্য (খ) মিথ্যা (গ) অনিশ্চিত (ঘ) বিরোধী
উত্তরঃ (ক) সত্য
(২) নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির অতিসংক্ষিপ্ত উত্তর দাওঃ
২.১ কারণের পরিমাণগত লক্ষণ কি?
উত্তরঃ কারণ হল কার্যের সমান।
অথবা,
বহুকারণবাদের একটি অসুবিধা উল্লেখ করো।
উত্তরঃ বহুকারণবাদ কারণকে বিশেষভাবে এবং কার্যকে সাধারণভাবে গ্রহণ করা হয়েছে।
২.২ ভালো বা উপমা যুক্তির একটি দৃষ্টান্ত দাও।
উত্তরঃ পৃথিবী এবং মঙ্গল উভয়ই গ্রহ, উভয়ই সূর্যকে প্রদক্ষিন করে, উভয়ই গ্রহে জল ও মাটি আছে, পৃথিবীতে জীব আছে।
অতএব, মঙ্গলেও জীব আছে।
অথবা,
উপমা যুক্তির মূল্যায়নের একটি মানদণ্ড উল্লেখ করো।
উত্তরঃ যুক্তিবাক্যের দৃষ্টান্তের সংখ্যা যত বেশি হবে সিদ্ধান্তের সম্ভব্যতা তত বেশি হবে।
২.৩ সাদৃশ্যমূলক আরোহ অনুমান কাকে বলে?
উত্তরঃ কয়েকটি বিশেষ সত্য থেকে তাদের মধ্যে স্বাদৃশ্য দেখে আর একটি ওই জাতিয় পদার্থের মধ্যে ওই একই বৈশিষ্ট্য আছে এরূপ অনুমান করা হলে তাকে স্বাদৃশ্যমূলক আরোহ অনুমান বলে।
অথবা,
মন্দ উপমা যুক্তি একটি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ গোরুর চারটি পা আছে, চেয়ারেও চারটি পা আছে।
গোরু দুধ দেয়।
চেয়ারও দুধ দেবে।
২.৪ সংযৌগিক বচন কখন সত্য হয়?
উত্তরঃ যখন দুটি বচনই সত্য হয়।
অথবা,
বৈকল্পিক বচন কখন মিথ্যা হয়?
উত্তরঃ যদি প্রথম বিকল্পকে স্বীকার করা হয়, তাহলে বৈকল্পিক বচনটি মিথ্যা হয়।
২.৫ অস্তিত্বমূলক তাৎপর্য কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো বচনের মধ্যে যদি অন্তত কোনো একটি বস্তু বা ব্যক্তির অস্তিত্বকে ঘোষণা করা হয় তাকে বলা হয় অস্তিত্বমূলক তাৎপর্য।
অথবা,
নিচের বাক্যটিকে ভেনচিত্রে প্রকাশ করোঃ
সকল মানুষ হয় মরণশীল।
উত্তরঃ
২.৬ একটি মিশ্র বৈকল্পিক ন্যায় অবৈধ হলে কি দোষ হয়?
উত্তরঃ বিকল্পকে স্বীকার জনিত দোষে দুষ্ট হয়।
অথবা,
বিসংবাদী বৈকল্পিক বচনের একটি দৃষ্টান্ত দাও।
উত্তরঃ মানুষটি জীবিত অথবা মৃত।
২.৭ সকল মানুষ হয় বিচারবুদ্ধি সম্পন্ন জীব। - বচনটি বিপরীত বিরোধী কি হবে?
উত্তরঃ কোনো মানুষু নয় বিচারবুদ্ধি সম্পন্ন জীব। (E)
অথবা,
বিরুদ্ধ বিরোধিতা কাকে বলে?
উত্তরঃ একই উদ্দেশ্য ও বিধেয় বিশিষ্ট্য দুটি বচনের মধ্যে যখন গুন ও পরিমান উভয়ই ভিন্ন, তাকে বিরুদ্ধ বিরোধিতা বলে।
২.৮ যুক্তির আকারগত বৈধতা কাকে বলে?
উত্তরঃ একাধিক বচনগ্রাহকের প্রতীকি কাঠামোর সত্যতাকে যুক্তির আকারগত বৈধতা বলে।
অথবা,
যুক্তির বস্তুগত সত্যতা কাকে বলে?
উত্তরঃ যুক্তির অন্তর্গত বচনগুলির সত্যতাকে যুক্তির বস্তুগত সত্যতা বলে।
২.৯ ‘বিষপান হলো মৃত্যুর কারণ’ - এক্ষেত্রে ‘কারণ’ কথাটি কোন্ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
উত্তরঃ পর্যাপ্ত শর্ত অর্থে।
২.১০ আবশ্যিক পর্যাপ্ত শর্ত হিসাবে কারণের একটি দৃষ্টান্ত দাও।
উত্তরঃ ভিজে কাঠে আগুন জ্বালালে ধোঁয়া উৎপন্ন হওয়া।
২.১১ আরোহমূলক লাফ কি?
উত্তরঃ আরোহ অনুমানে বিশেষ জ্ঞান থেকে সামান্য জ্ঞানে আসার জন্য যে ঝুঁকি নিতে হয়, তাকে আরোহমূলক ঝুঁকি বা লাফ বলে।
২.১২ স্বত:মিথ্যা বচন আকার কিরূপ?
উত্তরঃ যে বচনাকারের প্রধান স্তরের প্রধান যোজকের সবকটি সারিতেই মিথ্যা হয় তাকে স্বতঃমিথ্যা বচন বলে।
২.১৩ শূন্যগর্ভ শ্রেণি কাকে বলে?
উত্তরঃ যে শ্রেণীর অনর্ন্তরভুক্ত কোনো বস্তু বা ব্যক্তির বাস্তব অস্তিত্ব নেই তাকে শূণ্যগর্ভ শ্রেণী বলে।
২.১৪ অনুগ স্বীকার জনিত দোষের একটি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ যদি সূর্য ওঠে তবে আলো হবে।
আলো হয়েছে।
সূর্য ওঠেছে।
২.১৫ বিবর্তনের বৈধতার গুণ সংক্রান্ত নিয়মটি কি?
উত্তরঃ বিবর্তনে গুণের পরিবর্তন হবে, অর্থাৎ সদর্থক থাকলে নঞর্থক হবে এবং নঞর্থক থাকলে সদর্থক হবে।
২.১৬ অসম বিরোধিতার একটি দৃষ্টান্ত দাও।
উত্তরঃ কোনো মানুষ নয় পশু। (E)
কোনো কোনো মানুষ নয় পশু। (O)